77.8 % vaccine capable of preventing corona, third phase trial report submitted | করোনা রুখতে ৭৭.৮% সক্ষম কোভ্যাক্সিন, জমা তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের রিপোর্ট

 তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে কোভ্যাক্সিনের ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকারিতার প্রমাণ মিলেছে। সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ কমিটিকে এমনই তথ্য দিয়েছে ভারত বায়োটেক।

সূত্রের খবর, গত সপ্তাহের শেষের দিকে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার (ডিসিজিআই) কাছে ভারত বায়োটেকের করোনাভাইরাস টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের তথ্য জমা দেওয়া হয়। সেই তথ্য পর্যালোচনার জন্য মঙ্গলবার বৈঠকে বসেছে বিশেষজ্ঞ কমিটি।

গত এপ্রিলে ভারত বায়োটেকের তরফে দাবি করা হয়, কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় অভ্যন্তরীণ ট্রায়ালে ৭৮ শতাংশ কার্যকারিতার প্রমাণ মিলেছে। মার্চে প্রথম অভ্যন্তরীণ ট্রায়ালে করোনা রুখতে কোভ্যাক্সিন ৮১ শতাংশ সক্ষম হয়েছে দাবি করেছিল ভারত বায়োটেক। প্রথম এবং দ্বিতীয় অভ্যন্তরীণ ট্রায়ালে যথাক্রমে ৪৩ জন এবং ১২৭ জনের উপর পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। ভারত বায়োটেকের তরফে দাবি করা হয়েছিল, দ্বিতীয় দফায় গুরুতর করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ কার্যকারিতা দেখা গিয়েছে। কমেছে হাসপাতালে ভরতি হওয়া রোগীর সংখ্যাও। উপসর্গহীন রোগীদের ক্ষেত্রে কোভ্যাক্সিনে ৭০ শতাংশ কার্যকারী বলে দাবি করা হয়েছিল।

তারইমধ্যে আবার কোভ্যাক্সিনে নবজাতক বাছুরের সেরাম ব্যবহার করা হয় কিনা, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছিল। যদিও কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়, টিকা তৈরির জন্য নবজাতক বাছুরের সেরাম ব্যবহার করা হয়। শেষপর্যন্ত যে টিকা প্রদান করা হয়, তাতে সেই সেরাম থাকে না। একটি বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শুধুমাত্র ভেরো সেল তৈরির নবজাতক বাছুরের সেরাম ব্যবহার করা হয়। ভেরো সেল তৈরির জন্য বিশ্বজুড়ে গরু এবং অন্যান্য পশুর সেরাম হল স্বীকৃত উপকরণ। ভেরো সেল কোষের জীবন তৈরি করে। যা টিকা উৎপাদনের কাজে লাগে। দশকের পর দশক ধরে সেই পন্থা ব্যবহার করা হয়। পোলিয়ো, জলাতঙ্ক এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকার ক্ষেত্রেও তা ব্যবহৃত হয়।’