কাশ্মীর নিয়ে বোঝাপড়া হলেই পরমাণু অস্ত্রের প্রয়োজনীয়তা শেষ হবে : ইমরান খান

  • কাশ্মীর সমস্যার সমাধান চেয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য চান ইমরান খান।



 কাশ্মীর সমস্যা মিটে গেলেই পরমাণু অস্ত্রের প্রয়োজনীয়তা শেষ হয়ে যাবে। এমনই মন্তব্য করলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাশাপাশি কাশ্মীর সমস্যার সমাধান চেয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারস্থ হলেন ইমরান খান। এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে জো বাইডেন হোয়াইট হাউজে আসার পর এই নিয়ে কিছু বলেননি। ইমরান খানের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কোনও বক্তব্য পেশ করেনি ওয়াশিংটন। এদিকে নয়াদিল্লিও ইমরানের এহেন আবদারকে পাত্তা দেয়নি। যদিও ভারত চিরকাল কাশ্মীর ইস্যুতে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে এসেছে।

এদিকে আজ সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকে যোগ দেবেন ভারতীয় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সেই বৈঠকে যোগ দেবেন পাক নিরাপত্তা উপদেষ্টাও। আর এই বৈঠকের আগে ফের এখবার কাশ্মীর ইস্যু উস্কে দিলেন ইমরান। প্রসঙ্গত, এর আগের বছর সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠকেই কাশ্মীরের মানচিত্র বিভ্রাটের জেরে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন ডোভাল।

এদিকে সাক্ষাত্কারে ইমরানকে পাকিস্তানের বাড়তে থাকা পরমাণু অস্ত্রের ভাণ্ডার নিয়ে প্রশ্ন করা হলে আসল প্রশ্ন এড়িয়ে ইমরান বলেন, 'এই তথ্য (পাকিস্তান পরমাণু অস্ত্র ভাণ্ডার বাড়াচ্ছে) কোথা থেকে কে পেয়েছে, আমি জানি না। পাকিস্তান শুধুমাত্র নিজেদেরের সুরক্ষিত রাখতে পরমাণু অস্ত্র রাখে। যত দূর আমি জানি, এতে আপত্তির কিছু নেই। প্রতিবেশী দেশ আমাদের থেকে সাত গুণ বড়। এই সাবধানতা তো স্বাভাবিক।'

পাশাপাশি ইমরানের দাবি, তিনি নিয়ে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের বিপক্ষে। তাঁর বক্তব্য, 'কাশ্মীর নিয়ে সমাধান সূত্র বেরিয়ে এলেই পরমাণু অস্ত্রের আর প্রয়োজনীয়তা থাকবে না।' এদিকে মার্কিন হস্তক্ষেপ প্রসঙ্গে ইমরান বলেন, 'বাইডেনের সঙ্গে কথা হলে আমি কাশ্মীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করব। আমেরিকানদের যদি সমাধানের ইচ্ছে থাকে, তাহলে কাশ্মীর সমস্যা মিটতে পারে।'