‘রূপশ্রী’ প্রকল্পের টাকা ঢুকল তিন সন্তানের জননীর অ্যাকাউন্টে

 রাজ্য সরকারের নানা প্রকল্পে আগেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কাটমানি থেকে বেনামে টাকা তোলার অভিযোগ স্বীকারও করে নিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত লোকসভা নির্বাচনের পর সেই নিয়ে কম হাঙ্গামা হয়নি। তার পর প্রকল্পগুলির নিয়ন্ত্রণ অনেকাংশে রাজ্য সরকারের হাতে নিলেও দুর্নীতি যে বহাল তবিয়তেই রয়েছে তা ফের টের পাওয়া গেল। মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে তিন সন্তানের জননীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকল রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা।

রাজ্য সরকারের রূপশ্রী প্রকল্পের অধীনে বিবাহযোগ্যা কন্যারা। প্রথম বিবাহের আগে ২৫,০০০ টাকা করে পেয়ে থাকেন। সেজন্য আবেদনপত্র ছাড়াও বিয়ের কার্ড ও নানা নথি জমা দিতে হয়। সেই টাকা কী করে তিন সন্তানের জননীর অ্যাকাউন্টে ঢুকল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি থানার কড়াইয়া গ্রামের বাসিন্দা ২৮ বছরের রেখা কর্মকারের অভিযোগ, তাঁর কাছ থেকে আধার কার্ড ও টিপসই নিয়ে রূপশ্রী প্রকল্পে দুর্নীতি করেছে স্থানীয় ২ তৃণমূল কর্মী। তিনি জানিয়েছেন, গত বছর সেপ্টেম্বরে তাঁর নামে ‘টাকা এসেছে’ বলে আধার কার্ড নিয়ে যান সাদ শেখ ও রবিউল শেখ নামে ২ তৃণমূলকর্মী। গত ১৫ জুন রেখাদেবীর কাছ থেকে ৩টি কাগজে টিপ সই দিয়ে নিয়ে যান তাঁরা।

পরের দিন ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে গিয়ে রেখাদেবী জানতে পারেন তাঁর অ্যাকাউন্টে ২৫ হাজার টাকা ঢুকেছে। তার মধ্যে ১০ হাজার টাকা তুলেও নেওয়া হয়েছে। কোথা থেকে এত টাকা ঢুকল জানতে চাইলে ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয় রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা পেয়েছেন তিনি।

এর পর প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানান তিনি। অভিযোগের প্রাপ্তিস্বীকার করে সাগরদিঘির জয়েন্ট বিডিও তপন জানা জানিয়েছেন, ‘কী করে একজন বিবাহিত মহিলার অ্যাকাউন্টে রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা ঢুকল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

স্থানীয়দের একাংশের কথায়, তৃণমূল নেতৃত্বের সাহায্যে দুর্নীতি করে সরকারি প্রকল্পের টাকা হাতাচ্ছে একদল মানুষ। টাকা অ্যাকাউন্টে এলে তা ভাগ হচ্ছে দুপক্ষের মধ্যে। অনেকেই এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত। তদন্ত করলে সব সামনে আসবে।