World record: Australian 'young woman' has not stopped dancing for centuries | বিশ্ব রেকর্ড: অস্ট্রেলিয়ান 'যুবতী' শতবর্ষ পার করেও নাচ থামেনি
#অ্যাডিলেড: বয়স একটা সংখ্যা মাত্র। প্রতি বছর যা একবার করে বাড়ে। কিন্তু মানুষ তো বুড়িয়ে যায়। বয়স আটকে রাখার উপায় খুঁজতে আদিকাল থেকে কত চেষ্টাই না করেছে মানুষ। কত রাজা–মহারাজা বের হয়েছেন অমৃতের সন্ধানে ! তবে অস্ট্রেলিয়ার নারী ইলিন ক্রামারের কাছে বয়স যেন নস্যি। শতক পূরণ করেছেন ছয় বছর আগে। আজও দিব্যি তরুণী তিনি। দিনে একটা করে গল্প লেখেন, বইও প্রকাশ করছেন, চিত্রশিল্পী হিসেবে অংশ নিচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রতিযোগিতায়।
এতেই শেষ নয়। নিয়মিত নিজের নাচের ভিডিও রেকর্ড করছেন। এক কথায় জীবনটাকে পুরোপুরি উপভোগ করছেন ইলিন ক্রামার। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে একটি বৃদ্ধাশ্রমে বসবাসরত ইলিন ক্রামারের বয়স এখন ১০৬ বছর। কয়েক দশক দেশের বাইরে থেকে ৯৯ বছর বয়সে সিডনিতে গিয়ে থিতু হন ইলিন। তখন থেকে তিনি শিল্পীদের সঙ্গে মিলে নানা ধরনের ভিডিও বানাতে শুরু করেন। সারা জীবনের সাধনা নাচ ঘিরেই সেসব ভিডিও বানান তিনি।
শতবর্ষ পার হলেও এখনও নেচে চলেছেন ইলিন। তাঁর নাচে থাকে নাটকীয় সব মুদ্রা। সম্প্রতি কোরিওগ্রাফার হিসেবেও কাজ করেছেন এই নারী। ইলিন বলেন, ‘সিডনিতে ফিরে এসেই আমি অনেক ব্যস্ত হয়ে পড়ি। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ড্রামাটিক আর্টসহ অন্যান্য থিয়েটার হলে বড় তিনটি নাচের পরিবেশনা করি। নাচের দুটি বড় উৎসবেও অংশ নিয়েছি। এর একটি হয়েছে অ্যাডেলিডে, অন্যটি ব্রিসবেনে। একটি সিনেমায় কাজ করেছি, অনেকগুলো পারফরম্যান্স দিয়েছি, তিনটি বই লিখেছি।’
এই বয়সেও এত কিছু নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণেই ইলিনকে একটি সাধারণ প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় নিয়মিত। আর তা হল, এত প্রাণশক্তি তিনি কোথা থেকে পান? আগ্রহী কেউ কেউ আরেকটু বাড়িয়ে জিজ্ঞেস করে বসেন, ‘এই বয়সেও নেচে চলেছেন, রহস্যটা কী?’ প্রশ্ন যা–ই হোক না কেন, ইলিনের জবাব একটাই। আর তা হল, তিনি তাঁর অভিধান থেকে ‘বয়স’ ও ‘প্রৌঢ়ত্ব’ শব্দ দুটি মুছে ফেলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার জবাব হল, আমি বৃদ্ধ হয়ে যাইনি। আমি মূলত এই পৃথিবীতে অনেক দিন ধরে আছি এবং এই চলার পথে কিছু জিনিস শিখেছি। প্রৌঢ়ত্বে মানুষ যেমনটা অনুভব করেন, আমি তেমনটা অনুভব করি না। শিশু বয়সে যেমন ছিলাম, এখনো তেমনই রয়ে গেছি।’ ঠিকই বলেছেন। এই প্রাণশক্তির বড় বেশি অভাব আজকের পৃথিবীতে। ইলিনের মতো মানুষেরা অন্যভাবে ভাবতে বাধ্য করেন।