৩ জনের জন্য ১৫ জন আইনজীবী! ভুয়ো IAS কাণ্ডে ধৃতদের পুলিশ হেফাজত

 ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে এদিন গ্রেফতার আরও ৩। আদালতে তোলা হলে বিচারক অভিযুক্তদের ২রা জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। দিন তিনেক আগেই ভুয়ো আইএএস অফিসার সেজে জাল ভ্যাকসিন দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় দেবাঞ্জন দেব নামে এই চক্রের মূল পান্ডাকে। এর পরেই তাকে জেরা করে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। শনিবার তাদেরকে আলিপুর আদালতে তোলা হলে ৩ জন ধৃতের পক্ষে প্রায় ১৫ জন আইনজীবী সওয়াল করেন। 


অভিযুক্তদের আইনজীবিদের দাবি, এই চক্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছে অনেক বড় বড় মাথা, তাই তদন্তের মোড় ঘোরাতেই  নির্দোষদের গ্রেফতার করে দোষী সাজানো হচ্ছে। ধৃতদের আইনজীবীর আরও দাবি, তাদের মক্কেলরা প্রত্যেকেই দেবাঞ্জন এর কর্মী হিসেবে তার অফিসে কাজ করত মাসিক বেতনের ভিত্তিতে। তাদের কেউ এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত নয়, তারা শুধুমাত্র পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেন অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীরা। যদিও তাদের যুক্তি নস্যাৎ করে সরকারি আইনজীবী জানান, এত বড় বৃহত্তর ষড়যন্ত্র একার পক্ষে সম্ভব নয়। মূল অভিযুক্তকে জেরা করেই এদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা প্রত্যেকেই এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত।

পাবলিক প্রসিকিউটর সৌরিন ঘোষাল আদালতকে জানান, কলকাতার বাইরেও একাধিক জেলায় ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্প করেছিল অভিযুক্তরা। ধৃতদেরকে সঙ্গে নিয়ে সেই সমস্ত স্থানে তল্লাশি করতে চায় কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। তাই তদন্তের স্বার্থে তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে রাখা খুবই জরুরী। ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করেছিলেন সরকারি আইনজীবী। যদিও দুই পক্ষের সওয়াল-জবাব শুনে ২রা জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন আদালত।

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ৩ ব্যক্তির মধ্যে দু'জন ভুয়ো অ্যাকাউন্টের সইয়ের অধিকারী ছিলেন। আর তৃতীয় জন দেবাঞ্জনের সহযোগী। তাদের নাম সুশান্ত দাস, রবিন শিকদার এবং শান্তনু মান্না। সুশান্তর বাড়ি বিধাননগরে। রবিন বারাসত এলাকার বাসিন্দা। প্রতারণা চালাতে কলকাকা পুরসভার নামে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এরা ওই অ্য়াকাউন্টে সইয়ের অধিকারী। আর শান্তনু মান্না কলকাতার তালতলা এলাকার বাসিন্দা। সে দেবাঞ্জনের সহযোগী বলে জানা গিয়েছে।