হিংসার অভিযোগের তদন্তে গিয়ে যাদবপুরে গুন্ডাদের ‘হামলার’ মুখে NHRC-র প্রতিনিধি দল

 ভোট-পরবর্তী হিংসার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে যাদবপুরে আসে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (এনএইচআরসি) প্রতিনিধি দল। সেখানে মানবাধিকার কমিশনের সদস্যদের স্থানীয়দের হেনস্থার মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ। জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের ভাইস-চেয়ারপার্সন আতিফ রশিদের দাবি, তাঁদের উপর হামলা চালিয়েছে গুন্ডারা।



মানবাধিকার কমিশনের সদস্যদের দাবি, যাদবপুরের যে সব এলাকায় ভোট-পরবর্তী হিংসার অভিযোগ উঠেছিল, সেখানে মঙ্গলবার যান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা। সেখানে জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের ভাইস-চেয়ারপার্সন-সহ কয়েকজন সদস্যকে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। প্রতিনিধিদের দাবি, পুলিশও তাঁদের বাধা দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘তদন্তের সময় দেখা যায়, ৪০ টির বেশি বাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে। যাঁরা এখানে থাকছেন না। আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে গুন্ডারা। পুলিশের উপরও হামলা চালিয়েছে। আমাদের মারার চেষ্টা করেছে। আমাদের তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে।’

গত ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের হিংসার অভিযোগ ওঠে। অধিকাংশ জায়গায় হিংসার অভিযোগ ওঠে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। কয়েক জায়গায় ‘হিংসার’ শিকার হয়েছে তৃণমূল নেতাকর্মীরাও। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, সেইসব ‘বিক্ষিপ্ত’ ঘটনার সময় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব ছিল নির্বাচন কমিশনের উপর। নয়া সরকার ক্ষমতায় আসার পর পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে এসে গিয়েছে।

তারইমধ্যে জুনের মাঝামাঝি একটি জনস্বার্থ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা পড়ে। সেখানে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলা হয়। তারপরই হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, ভোট-পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত করবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে তড়িঘড়ি হাইকোর্টে যায় রাজ্য সরকার। দায়ের করা হয় পুনর্বিবেচনার আর্জি। যদিও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেই আর্জি খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। তারপরই ২১ জুন সাত সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। যে কমিটি ইতিমধ্যে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে দেখেছে।