Fake Officer Update: আবার একবার ৬০০ টাকায় নীল বাতি, ৫০ টাকায় নকল স্টিকার! স্টিং অপারেশনে ফাঁস কারবার

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা রয়েছে৷ আছে নিয়মের বিধিনিষেধও৷ কিন্তূ সে সমস্ত কিছুই খাতায় কলমে৷ তাই স্বচ্ছন্দে দেবাঞ্জন দেবদের মতো প্রতারকরা গাড়িতে লাগ



#কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা রয়েছে৷ আছে নিয়মের বিধিনিষেধও৷ কিন্তূ সে সমস্ত কিছুই খাতায় কলমে৷ তাই স্বচ্ছন্দে দেবাঞ্জন দেবদের মতো প্রতারকরা গাড়িতে লাগানোর জন্য পেয়ে যাচ্ছেন নীল বাতি৷ ফলে সাধারণ মানুষ তো বটেই, রাস্তাঘাটে এমন গাড়ি দেখে বোকা বনছে পুলিশও৷

পুলিশের একাংশেরই অভিযোগ, নীল বাতির এই আলো নিয়ে রীতিমতো কালোবাজারি চলে৷ খোঁজ করতে গিয়ে দেখা গেল, সত্যিই যে কেউ চাইলে গাড়িতে এই আলো লাগিয়ে পারেন৷

গাড়ির যন্ত্রাংশের জন্য বিখ্যাত এ জে সি বোস রোডের উপরে মল্লিকবাজার এলাকা৷ সেখানেই গোপন ক্যামেরা নিয়ে হানা দিয়েছিলেন নিউজ ১৮ বাংলার প্রতিনিধি৷ আর সেই স্টিং অপারেশনেই বোঝা গেল, সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কোনও রকম নথি না দেখেই দেদার বিক্রি হচ্ছে নীল বাতি৷

মল্লিকবাজারের বিভিন্ন দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, মোটামুটি ৬০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে গাড়িতে লাগানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের নীল বাতি পাওয়া যাচ্ছে৷ দাম গুণমান অনুযায়ী৷ এলইডি আলো সহ নীল ফ্ল্যাশারের দাম ১০০০ থেকে ২০০০-এর মধ্যে৷ মল্লিকবাজারের অলি গলিতে একের পর এক দোকানে বিক্রি হচ্ছে লাল অথবা নীল রংয়ের এমন আলো৷

শুধু কি লাল বা নীল বাতি, ৫০ থেকে ১০০ টাকা খরচ করলেই কম্পিউটার থেকে পুলিশ, সেন্ট্রাল ভিজিলেন্স কমিশন সহ নানা ধরনের স্টিকার৷ ভুয়ো এই সমস্ত স্টিকার গাড়িতে সাঁটিয়েও প্রতারণার ফাঁদ পাতছে অনেকে৷

মল্লিকবাজারের এ রকমই এক দোকানে গিয়ে নীল ফ্ল্যাশার চাইলে এক বিক্রেতা জানালেন, ছোট আলো নিলে দাম পড়বে ৬০০, বড় আলোর দাম পড়বে ১০০০ টাকা৷ ওই বিক্রেতাই জানালেন, এই ফ্ল্যাশারে এমন ব্যবস্থা রয়েছে যা প্রয়োজন মতো গাড়ির মাথায় খোলা বা লাগানো যায়৷ বিক্রেতার কথায় একে ম্যাগনেটিক সিস্টেম বলে৷ মল্লিকবাজারের আরও একটি ছোট দোকানে গিয়ে দেখা গেল, নকল স্টিকার বানানোর জন্য সেখানে রীতিমতো প্রিন্টার বসানো রয়েছে৷ দোকানে থাকা ব্যক্তি রাখঢাক না করেই জানিয়ে দিলেন, পুলিশ থেকে শুরু করে যে কোনও নকল স্টিকার বানিয়ে দিতে পারবেন৷

অতীতেও মল্লিকবাজারে এই ধরনের বেআইনি কারবার রুখতে পুলিশি অভিযান চলেছে৷ তার পরেও আবার রমরমিয়ে শুরু হয়েছে কারবার৷ কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের ঘটনার পর গোটা রাজ্যে শোরগোল পড়ে গেলেও মল্লিকবাজারের ব্যবসায়ীরা যে নিয়মের ধার ধারছেন না, তা স্পষ্ট৷দেবাঞ্জন দেবের পরেও মঙ্গলবার রাতে সেন্ট্রাল ভিজিলেন্স কমিশনের ভুয়ো অফিসার পরিচয় দেওয়ার অভিযোগে থিয়েটার রোড থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ তার গাড়িতেও সেন্ট্রাল ভিজিলেন্স কমিশনের স্টিকার লাগানো ছিল৷ এই ধরনের স্টিকার বা নীল আলো যে কতটা সহজলভ্য, তা মল্লিকবাজারে হানা দিয়েই স্পষ্ট হয়ে গেল৷