এবার বেশ কয়েকটি স্কুল একাদশে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ভাবছে
এবার বেশ কয়েকটি স্কুল একাদশে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ভাবছে.
This time, several schools are thinking of taking the admission test in the XI
করোনা পরিস্থিতিতে বাতিল হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বিশেষ মূল্যায়নের ওপর নির্ভর করে একাদশে ভর্তি হতে চলেছেন পড়ুয়ারা। কিন্তু যে বিষয়গুলি নিয়ে পড়তে চায়, তাতে তাঁরা কতটা দক্ষ তা যাচাইয়ের জন্য ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে শহরের বেশ কয়েকটি স্কুল। ইতিমধ্যে শহরের বেশ কটি স্কুল ছাত্রছাত্রীদের অনলাইনে বা স্কুলে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে।
শহরের যে স্কুলগুলিতে ভর্তি নেওয়ার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে, সেগুলির মধ্যে একটি হল যাদবপুর বিদ্যাপীঠ। এই প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিমল ভট্টাচার্য জানান, অনলাইনে প্রতিটি বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট নম্বরে কম সময়ের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া হবে। প্রশ্ন এমনভাবে করা হবে যা বই দেখে লেখা কঠিন। বিষয়টির ওপর স্বচ্ছ ধারনা থাকলে তবেই উত্তর দেওয়া যাবে। একইসঙ্গে তিনি জানান, যে পদ্ধতিতে এবারে মূল্যায়ন করা হচ্ছে, তাতে প্রচুর পড়ুয়া হয়ত ভালো নম্বর পাবে। সেক্ষেত্রে যারা ভর্তি হতে আসবে, তাঁদের যাচাই করে নেওয়া প্রয়োজন। না হলে পরবর্তীকালে সমস্যা হতে পারে। একাদশে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে এবারে সহমত পোষণ করেছেন শ্যামপুকুর এলাকার সরস্বতী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জয়তী মিত্র মজুমদার। তিনি জানান, ‘আমাদের স্কুলের ছাত্রীরা কে কোন বিষয়ে ভালো, তা আমরা জানি। যারা অন্য স্কুল থেকে ভর্তি হতে আসবেন, তাদের জন্য পরীক্ষা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা আছে বলেই মনে করছি। ছাত্রীরা যে বিষয়ে পড়তে চান, সেবিষয়ে তারা কতটা দক্ষ, তা যাচাই করে নেওয়া প্রয়োজন। তাই স্কুলেই কম সময়ের জন্য ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার আয়োজন করা হচ্ছে।’